যেকোনও দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি উত্পাদন শিল্প। ভারী শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উত্পাদন শিল্পের একটার বড় ধরণের ভূমিকা থাকে দেশের অর্থৈনৈতিক উন্নতিতে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে এই ধরণের ছোট ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসার গুরুত্ব অপরিসীম।
অল্প পুঁজিতে ও কম লোক বল নিয়ে শুরু করা যায় এরকমই ২৫টি উত্পাদনমুখী ব্যবসার সন্ধান আজ আমরা দেব। উত্পাদনমুখী ব্যবসায় জিনিসের গুণমানই ব্যবসায়িক সাফল্যের চাবিকাঠি।
আজ আমরা এমন কয়েকটি ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করব যা শুরু করতে খুব বেশি প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নেই খুব বড় ধরণের কোনও পরিকাঠামো কিন্তু সঠিক পথে চলতে পারলে মুনাফা নিশ্চিত।
১.
জৈব সার তৈরির ব্যবসা
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশে, ফলে এদেশে সারের
বিপুল চাহিদা রয়েছে। নিজের এবং আসে পাশের বাড়ির বর্জ্য থেকেই জৈব সার তৈরি
করা সম্ভব। স্থানীয় বাজারে সরাসরি চাষীদের বা বিভিন্ন নার্সারিকে এই সার
বিক্রি করতে পারেন। এই ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসাতেও লাভ ভালই।
২.
কাঠের হাতা-খুন্তি তৈরি
নন্-স্টিক পাত্রের ব্যবহারের ফলে প্রচুর
চাহিদা তৈরি হয়েছে কাঠের তৈরি হাতা খুন্তির। প্রতি বাড়িতেই নিয়মিত এই হাতা
খুন্তি কেনা হয়, এছাড়াও রয়েছে হোটেল রেস্তোঁরা। ভাল মানের কাঠের হাতা
পেতে অনেক সময়েই সমস্যায় পড়ে ক্রেতা, তাই এই হাতা উত্পাদন করে ভাল ব্যবসা
করতে পারবেন। নিজের দোকান খুলেও বিক্রি করতে পারেন অথবা অন্য দোকানেও
সরবরাহ করতে পারেন।
৩.
পাঁউরুবাঙালির খাদ্য তালিকায় পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে পাঁউরুটি। পুষ্টিগুণ ও সহজলভ্যতার কারণে প্রায় প্রতিদিনে খাবার তালিকায় থাকে পাঁউরুটি। কম বিনিয়োগেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। লাইসেন্স পাওয়ার ঝক্কিও কম। স্বাস্থ্যকর ভাবে তৈরি করে ভাল প্যাকেজিং-এ বিক্রি করতে পারলে ভাল লাভ হবে এই ব্যবসায়।টি তৈরি
৪.
জ্যাম ও জেলি তৈরি
ঘর থেকেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রাথমিক খরচ ২৫,০০০ টাকার মধ্যে। প্রয়োজন হবে ফল, সাইট্রিক অ্যাসিড, খাবারে দেওয়ার রং, খাবার সংরক্ষণকর ও বোতল
0 মন্তব্যসমূহ